দেবের মন্তব্যে বিতর্ক! সরাসরি জবাব দিলেন শুভশ্রী
বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের কাছে চলতি মাসের মাঝামাঝি ছিল উৎসবের আবহ। কারণ বহু প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেয়েছে ‘ধূমকেতু’। ১৪ তারিখে মুক্তি পাওয়া এই ছবি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কারণ এক দশকেরও বেশি সময় পর ফের একসাথে বড়পর্দায় ফিরলেন জনপ্রিয় জুটি দেব (Dev) ও শুভশ্রী গাঙ্গুলি (Subhashree Ganguly)। একসময় তাঁদের জুটি বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল।
তাই এই পুনর্মিলন ঘিরে দর্শকদের আবেগও ছিল প্রবল। ছবির মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড়ই তার প্রমাণ।তবে ছবির সাফল্যের মাঝেই জন্ম নিল এক নতুন বিতর্ক। এক সাক্ষাৎকারে দেবকে প্রশ্ন করা হয়, যদি ‘ধূমকেতু’ আজকের দিনে নতুন করে মুক্তি পেত, তবে শুভশ্রী কি তাঁর প্রথম পছন্দ হতেন? উত্তরে দেবের মন্তব্যেই ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অভিনেতার মতে, সময় ও পরিস্থিতি একজন অভিনেত্রীর ওপর প্রভাব ফেলে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে শারীরিক পরিবর্তন—সবই কাস্টিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুভশ্রীকে নিয়ে তাঁর স্পষ্ট মতামত, আগের মতো সরলতা ও আকর্ষণ এখন আর নেই তাঁর মধ্যে।
দেব আরও বলেন, তিনি যদি নায়ক হতেন, তবে চরিত্রের প্রয়োজনে অন্য কোনও অভিনেত্রীকেও বেছে নিতে পারতেন। যদিও প্রথম প্রযোজনার ছবিতে শুভশ্রীকে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকার কারণে তাঁকে রেখেছিলেন। তবে সেটা মুখ্য চরিত্র না হয়ে পার্শ্বচরিত্রও হতে পারত। বিতর্কিতভাবে দেব বলেন—
“শুভশ্রী এখন দুই সন্তানের মা, আগের সেই স্পার্ক আর ইনোসেন্স নেই।”এই মন্তব্যেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শুভশ্রীর অনুরাগীরা। অনেকেই মনে করছেন, দেব কেবল একজন অভিনেত্রীকেই নয়, মাতৃত্বকেও খাটো করেছেন।প্রতিক্রিয়ায় শুভশ্রীও মুখ খোলেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন—
“একজন সচেতন মানুষ কীভাবে এ রকম মন্তব্য করতে পারেন?”অভিনেত্রীর দাবি, মা হওয়া কখনও শিল্পীসত্তা কমিয়ে দেয় না। বরং তাঁর কাছে চরিত্রের গুণমানই আসল—সেটা মুখ্য ভূমিকাই হোক বা পার্শ্বচরিত্র। সন্তান হওয়ার পরেও তাঁর অভিনয় দক্ষতা বা ব্যক্তিত্বে কোনও ঘাটতি আসেনি। দেবের বক্তব্যকে তিনি ‘অসম্মানজনক’ বলেই আখ্যা দেন।
শুভশ্রীর কথায়—“আমার সাইড ক্যারেক্টার করতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মা হয়ে যাওয়ায় ইনোসেন্স কমে গেছে—এমন মন্তব্য সত্যিই অসম্মানজনক। যখন তুমি ছবির প্রচার করছো, তখন সহঅভিনেত্রীর সম্পর্কে এভাবে কথা বলা দুঃখজনক।”
এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আবার কবে দর্শক দেখবে দেব-শুভশ্রীর জুটি? জবাবে অভিনেত্রী ব্যঙ্গ করে বলেন—
“জানি না সেটা। মা হয়ে গেছি, তাই হয়তো ইনোসেন্সও নেই মুখে।”