সবাই চটি চাটা? সৌমীতৃষার মন্তব্য ঘিরে কার্নিভাল বিতর্কে ছাব্বিশের টিকিটের গন্ধে উত্তাল নেটদুনিয়া!”

By Sk Sakib

Published on:

আগস্টে আর জি কর হাসপাতালকাণ্ডের পর থেকেই উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, চলছে আমরণ অনশন। একদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট নিয়ে রাস্তায় মানুষ, অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে দুর্গাপুজোর উৎসব চলছে জাঁকজমকেই।

এরই মধ্যে রেড রোডে হচ্ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, আর তার বিপরীতে রানি রাসমণি রোডে ডাক্তারদের ডাকে আয়োজন হয়েছে ‘দ্রোহ কার্নিভাল’।  এই দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা পরিস্থিতির মাঝে মুখ খুললেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু।


প্রশ্ন উঠেছে, পুজোর আনন্দে সামিল হওয়া মানেই কি প্রতিবাদের বিরোধিতা? অনেকেই যখন শিল্পীদের উপস্থিতি নিয়ে সংশয়ে, তখন সৌমীতৃষা স্পষ্ট জানালেন—তিনি কার্নিভালে যাচ্ছেন। অভিনেত্রীর মন্তব্য, “আমি আন্দোলনের বিরোধী নই। তবে এবার মণ্ডপে যেভাবে মানুষের ঢল দেখলাম, তাতে বুঝেই গিয়েছি পুজো ঠিকই হয়েছে।


তাহলে কার্নিভাল এড়িয়ে যাওয়ার মানে কোথায়?” তিনি আরও বলেন, “এটা তো বছরের একটা দিন, মা বিদায় নিচ্ছেন, তাই আমিও উপস্থিত থাকব।” তবে বিতর্ক যে তাঁর কথাতেই থেমে থাকেনি, তা স্পষ্ট তাঁর আরও এক মন্তব্যে—“কার্নিভালে গেলে যদি বিতর্ক হয়, হোক। সবাই যা করবেন, আমিও তাই করব। আর যারা ট্রোলের ভয়ে যাবেন না, তাঁদের মেরুদণ্ড নেই।”


এই মন্তব্যকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে চর্চা। কেউ বলছেন, “সবাই সরীসৃপ হয়ে যাচ্ছে,” কেউ আবার সরাসরি কটাক্ষ করে বলছেন, “এসব ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিট পাওয়ার খেলা!” এমনকি কেউ কেউ অভিনেত্রীকে ‘চটি চাটা’ বলেও আক্রমণ করেছেন।

তবে এই বিতর্কের মাঝেও সৌমীতৃষা নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর মতে, উৎসব পালন ও প্রতিবাদ—দুটিই একসঙ্গে করা সম্ভব। কার্নিভালে যাওয়া মানেই আন্দোলনের বিরোধিতা নয়—এটাই তিনি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন নিজের অবস্থান থেকে